ক্লাব তাঁবুতে ইস্টবেঙ্গলের নতুন তারকা র্যান্টি মার্টিন্স৷

    ট্রফি এনে দেওয়ার প্রতিশ্রীতি এবং নিজের একশো ভাগ দায়বদ্ধতার অঙ্গীকার৷ বুধবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে এ ভাবেই ধরা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন তারকা র্যান্টি মার্টিন্স৷ সেই একই দিনে , একই সময়ে , সিনিয়র ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন লাল -হলুদ কর্তারা৷ রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন , ‘প্রতিবারই আমরা আই লিগের কাছে এসেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি না৷ এ বারও রানার্স হতে হল৷ কারণ হিসেবে বলতে পারি , মেহতাব হোসেন , সৌমিক দে, আলভিটো ডি ’কুনহা , চিডির মতো সিনিয়র ফুটবলারদের যতটা দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল , সেটা তারা নেয়নি৷ দায়বদ্ধতার অভাব ছিল৷ ’ ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তার কথা খুব তাত্পর্যপূর্ণ৷ এই কথাগুলো আর্মান্দো কোলাসো বলার সময় কর্তারা আগে কোনও ব্যবস্থা নেননি৷ আলভিটো ডি ’কুনহা , যিনি কিছু কর্তার খুব কাছের লোক , তিনি এক সময় কোচকে না জানিয়েই গোয়া চলে যান৷ কেউ জানতে পারেননি৷ তখনও কর্তারা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি৷ অথচ এতদিনে উঠে এল তাঁর নাম৷
    চিডি , মেহতাব , ওপারাদের সতর্ক করে দেবব্রত বলেন , ‘এ বার অনেক শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে৷ কখনও চিডি , কখনও উগা৷ আবারও মেহতাবও আমাদের না জানিয়ে অপারেশন করিয়ে নিয়েছিল৷ এটা অন্যায় বলেই মনে করি৷ ’কোচ আর্মান্দো কোলাসো কি আর ফিরে আসবেন কলকাতা ? সেই ধোঁয়াশা মেটেনি৷ এ নিয়েও কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি দেবব্রতবাবু৷ বললেন , ‘আমরা চাই আর্মান্দোই কোচ থাকুক৷ কিন্ত্ত তিনি এখনও কিছু বলেননি৷ আশা করছি , ৫ মে -র মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন৷ তারপর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব৷ তবে তিনি যে সব ফুটবলারদের নাম বলেছেন , তাদের নেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না , আর্থিক কারণে৷ ’ যদিও আর্মান্দোর কথা উঠে এল বিকেলে ক্লাবের দু’বছরের রিক্রুট র্যান্টি মার্টিন্সের কথায়৷ তাঁকে নিয়ে বেশ হইচই করছিলেন সমর্থকরা৷ ‘ওয়েলকাম র্যান্টি মার্টিন্স’ লেখা লাল -হলুদ গোলাপ তুলে দেওয়া হল তাঁর হাতে৷ র্যান্টি বললেন , ‘ইস্টবেঙ্গলে আগেও আসতে পারতাম৷ কিন্ত্ত মনে হচ্ছে , এটাই আমার ইস্টবেঙ্গলে খেলার সেরা সময়৷ কর্তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন৷ আর্মান্দো কোলাসো কোচ থাকাও বড় কারণ৷ ’প্রশ্ন করা হয় , অনেক বড় বিদেশি এখানে খেলে সফল হতে পারেননি৷ চাপও নিতে পারেননি৷ ইঙ্গিত ছিল সাম্প্রতিক ব্যর্থ ওকোলি ওডাফার দিকে৷ র্যান্টি সাফ বলে দিলেন , ‘চাপ নয় , আমার কাছে আসল দায়বদ্ধতা৷ এটা থাকলে চাপ কোনও সমস্যা নয়৷ ’র্যান্টির কথা শুনে উপস্থিত লাল -হলুদ সমর্থকরা যখন বেশ খুশি , তখন একটু পরেই শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের কথায় বেশ কিছু হতাশার ছবি৷ যেমন , ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য চার কোটি টাকা খরচ হবে ইস্টবেঙ্গলের৷ তাই ফুটবলারদের চুক্তির টাকা বাড়ানো সম্ভব তো নয়ই , বরং তা কমছে৷ ৷

    0 comments:

    Post a Comment

    Read more at WWW.BANGLARMUKHONLINE.TK

    A forenight newspaper. Powered by Blogger.

    Latest Tweets