চোকোলেটে মাতোয়ারা

    রংটা কালো, কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়৷ দেখলেই জিভে জল৷ একটু তেঁতো৷ কিন্তু খেলে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটবেই৷ জিনিসটা ডার্ক চকোলেট৷
    চকোলেট শুনলে শিশুদের মুখে হাসি ফুটলেও, মায়েদের মুখ একটু গোমড়া হয় বইকি! বাচচারা তো চাইবেই৷ কিন্ত্ত চকোলেট খাওয়া কি ভাল? উত্তরটা হল মোটেই খারাপ নয়৷ কারণ, ডার্ক চকোলেটের যে এমন গুণাগুণ তা জানলে অবশ্যই আর সন্তানদের সেটা খেতে বাধা দেবেন না বাবা-মায়েরা৷ উল্টে একটা টুকরো নিজেরাই মুখে দিয়ে দেবেন৷
    হার্ট ভাল রাখায়, শরীর-মন তরতাজা করতে এমনকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ডার্ক চকোলেট উপকারী৷ সম্প্রতি এমনটাই জানাচেছন একদল বিশেষজ্ঞ৷ তাই এবার বাচচাদের পাশাপাশি বড়রাও এক টুকরো ডার্ক চকোলেট মুখে পুরে তার অনবদ্য স্বাদ নিতেই পারেন৷ তবে হ্যাঁ বেশি নয়৷ সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন দু'-তিন কিউব৷
    ডার্ক চকোলেটের গুণের ফিরিস্তি শুনলে সত্যি অবাক হতে হয়৷
    এই চকোলেটে এমন উপাদান আছে যা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে৷ রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, যার ফলে হার্টে ব্লকের সম্ভাবনা কমে৷ ডার্ক চকোলেটের ক্যাফিন মস্তিষ্কে চনমনে ভাব আনে৷ এত থাকে ফেনিলেথিল্যামাইন (পিইএ)৷ মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন মস্তিষ্কে এনড্রোফিনস ক্ষরণ হয়৷ এই পিইএ মস্তিষ্ককে এনড্রোফিনস  নিঃসরনে সাহায্য করে৷ যার ফলে মানুষের মধ্যে খুশির অনুভূতি হয়৷ শুধু তাই নয়, ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েডস৷ যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক৷ তাছাড়াও ডার্ক চকোলেট কয়েক ধরনের ক্যানসারের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়৷ ব্লাড সুগার কমাতেও এর অবদান রয়েছে বলে জানাচেছ সাম্প্রতিক গবেষণা৷ বিশেষত টাইপ টু ব্লাড সুগার কমাতে ডার্ক চকোলেট উপযোগী৷ তা ছাড়া এতে থাকা অ্যাণ্টিঅক্সিডেণ্ট ত্বক ভাল রাখে৷ এর মধ্যে রয়েছে থিয়োব্রোমিন, যা দাঁতের পক্ষে উপযোগী৷
    এত গুণ যার, সে কালো হলেও ভালো৷ তবে মনে রাখার একটাই কথা, সুস্বাদু বলেই বেশি খাওয়া যাবে না৷ খেতে হবে পরিমিত৷ 

    0 comments:

    Post a Comment

    Read more at WWW.BANGLARMUKHONLINE.TK

    A forenight newspaper. Powered by Blogger.

    Latest Tweets